দর্শক চাহিদার অভাবে লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে গেল বগুড়ার একমাত্র সিনেপ্লেক্স মধুবন সিনেপ্লেক্স। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ‘নন্দিনী’ সিনেমার দুটি শো-তে মাত্র ৫-৬ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী আর এম ইউনুস রুবেল এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাসের পর মাস লোকসান হওয়ায় চলতি খরচও ওঠছে না। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি। কর্মচারীদের বেতন এবং বিদ্যুৎ বিল নিজেদের পকেটে দিতে হয়েছে। প্রতিমাসে দুই লক্ষাধিক টাকা লোকসান হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আর এম ইউনুস রুবেল বলেন, দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না। তিনি মনে করেন, ভালো বিদেশি ছবি প্রদর্শন ও ধারাবাহিক দেশি ছবি আসার মাধ্যমে দর্শক ফিরবে। তিনি সরকারের কাছে বিদেশি সিনেমা সহজে আমদানি করার সুযোগ চেয়েছেন এবং সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রদর্শন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
রুবেল আরও জানান, সরকারের সহযোগিতা পেলে মধুবনের মতো আরও ২০০ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব। তিনি চলচ্চিত্র সংস্কার কমিটিতে প্রদর্শকদের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছেন।
মধুবন সিনেপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ প্রদর্শনের পর হল বন্ধ হয়ে যায়, তিন বছর সংস্কারের পর পুনরায় চালু হয়। জনপ্রিয় সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘তাণ্ডব’, ‘বরবাদ’ ইত্যাদি। সিনেপ্লেক্সে ছিল ৩৩৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসন, ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, গ্যালালাইট পর্দা, আধুনিক ফুড কর্নার ও পার্কিং সুবিধা।