Ridge Bangla

খুলনার শিপইয়ার্ড সড়কের কাজ কাগজে, বাস্তবে নেই

খুলনার অতি গুরুত্বপূর্ণ শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এক বছরের কাজ সাড়ে তিন বছরে শেষ করতে না পারায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের জামানত ৭ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে আরও ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক খুলনা অফিসের অভিযান পরিচালনা করেন উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ। রূপসা সেতু সংলগ্ন ৩০০ মিটার এলাকা পরীক্ষা করে দেখা যায়, মেজারমেন্ট বইয়ে উল্লেখিত ১০ ইঞ্চি বালু ও ১০ ইঞ্চি সাব বেইজের লেয়ার বাস্তবে নেই। অথচ বইয়ে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ৬৭৬ মিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

৭ আগস্ট কেডিএ ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। ২৪ আগস্ট নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয়, কিন্তু মাহাবুব ব্রাদার্স আদালতে মামলা ও আরবিট্রেটরের মাধ্যমে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। সাড়ে তিন বছরে ঠিকাদার ৭০ কোটি টাকা তুললেও অনেক কাজ শেষ হয়নি। সড়কের বেজ টাইপ-২, বেজ টাইপ-১, ৪ ইঞ্চি বিটুমিন কার্পেটিং ও সিলকোর্টের কাজ বাকি রয়েছে। ৬৬ মিটার দীর্ঘ লবণচরা সেতুর ১০টি গার্ডারের মধ্যে মাত্র একটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সড়কটি ব্যবহারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চালকল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ নাজুক সড়ক পেরিয়ে চলাচল করেন।

প্রকল্প পরিচালক মো. আরমান হোসেন দাবি করেন, ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে, মেজারমেন্ট বইয়ে তথ্যপ্রমাণসহ সব জমা দেওয়া হবে। ঠিকাদার মাহাবুব ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ২১

আরো পড়ুন