বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী মালা সিনহা দীর্ঘ ২০ বছর পর্দায় রাজত্ব করেছেন এবং ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গুরু দত্ত, অশোক কুমার, দিলীপ কুমার, রাজকুমার, মনোজ কুমার, রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চনসহ অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু একসময়ের এই শীর্ষ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শেষ হয় একটি বিতর্কিত ঘটনার কারণে।
১৯৭৮ সালে তার বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় ১২ লাখ টাকা। মালা সেই সময় আদালতে বলেন, ‘সব টাকা দেহব্যবসা করে কামিয়েছি।’ জানা যায়, তাঁর বাবা ও আইনজীবীর পরামর্শে তিনি এই দাবি করেছিলেন। পরে জরিমানা হিসেবে বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছিল।
সম্প্রতি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে মালা সিনহা। দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নেপালের রাজনৈতিক সংকটের এই সমাধান নতুন করে মালা প্রসঙ্গকে উল্লেখযোগ্য করেছে।
কারণ, ১৯৭৩ সালের ১০ জুন মালা সিনহা নেপালের দুর্গা প্রসাদ সুবেদি ও স্বামী, নেপালি অভিনেতা সি পি লোহানির সঙ্গে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানে থাকাকালীন বিমান ছিনতাই করা হয়। নেপালি কংগ্রেসের তিন তরুণ—দুর্গা প্রসাদ সুবেদি, নাগেন্দ্র ধুঙ্গেল ও বসন্ত ভট্টরাই ককপিট দখল করে বিমানে থাকা সরকারের ৩০ লাখ রুপি ছিনিয়ে নেন।
এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন গিরিজা প্রসাদ কৈরালা, যিনি পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন। বিমানের টাকা ট্রাকে করে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য, সুশীলা কার্কি ভারতে পড়াশোনার সময় বারানসির বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্গা সুবেদির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। সুবেদির অতীত এবং মালা সিনহার সঙ্গে তার বিমান সংক্রান্ত ঘটনা এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।