পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্রে শতভাগ অগ্রগতি দেখানো হলেও মাঠে বাস্তবায়ন হয়নি অধিকাংশ কাজ।
নদমূল্লা ইউনিয়নের দুটি সেতু নির্মাণের জন্য কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেখানে কোনো সেতু তৈরি হয়নি। বরং সম্পূর্ণ কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদারির বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগই পেয়েছে সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির পরিদর্শন শেষে উল্লেখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু তিনটি প্রকল্প থেকেই ১৩৭টি প্যাকেজে ৩৪৩ কোটি টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাই আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের ৯৩টি প্যাকেজে কোনো কাজ হয়নি, তবুও পরিশোধ করা হয়েছে ২০৫ কোটিরও বেশি টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এলজিইডির কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে এ অনিয়মে জড়িত ছিলেন। ইতোমধ্যে এক হিসাবরক্ষক দুর্নীতির মামলায় কারাগারে মারা গেছেন এবং সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আত্মগোপনে রয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়াই অর্থ ছাড়, অতিরিক্ত বরাদ্দ এবং প্রকল্প পরিচালকদের নজরদারির অভাবেই এ দুর্নীতি সম্ভব হয়েছে। আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত আনা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে আইএমইডি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বরং ভোগান্তি বেড়েছে। কর্মকর্তাদের অনেকে স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি।