Ridge Bangla

জুলাই সনদ: সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো পুনরায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় ধাপের সংলাপে বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আলোচনার টেবিলে আছি। সমাধানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করা যাবে না। জনগণই দেশের সর্বোচ্চ অথরিটি। পিআর পদ্ধতিতে সরকার গঠন হলে ঝুলন্ত সংসদ থাকবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হবে।”

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান দাবি করেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি জনগণের দাবির প্রতিফলন। “এটি নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন হোক বা গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে তা নিশ্চিত করতে হবে,” তিনি বলেন।

এনসিপি, এ বি পার্টি, এলডিপি ও অন্যান্য দলও বিভিন্নভাবে আদেশ ও গণভোট বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান মন্তব্য করেন, “সরকার এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং দায় নিতে চাচ্ছে না।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, চারটি প্রস্তাবিত পদ্ধতির মধ্যে বিশেষজ্ঞরা সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। কমিশন আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ সম্প্রতি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে চাইছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১২

আরো পড়ুন