জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই জুলাই আন্দোলনের সময় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। তার দাবি অনুযায়ী, এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নাহিদ ইসলাম সবশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় বহু সমন্বয়ককে গুম করা হয়, ডিবি অফিসে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য অমানবিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া হেলিকপ্টার থেকে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালানো ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হামলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে জানান, ভিকটিম পরিবাররা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞে সরাসরি দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, “৪ ও ৫ আগস্টের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আমি আদালতে জানিয়েছি।”
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি মামলার প্রেক্ষাপট বোঝাতে এবং আসামিদের ভূমিকা স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার সাক্ষ্য এই মামলার প্রমাণ হিসেবে অকাট্য হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। প্রসিকিউশন জানায়, প্রতিটি সাক্ষ্য বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তা আদালতের রায়ের ভিত্তি তৈরি করবে।