রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে রেলের লোকোমোটিভ ও কোচের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্বল্পতা তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে ভারত থেকে ২০০টি নতুন যাত্রীবাহী কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মধ্যেই ২০টি কোচ দেশে পৌঁছাবে, আর বাকি কোচগুলো ধাপে ধাপে যুক্ত হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড পরিদর্শনকালে তিনি এসব তথ্য জানান। সচিব বলেন, “রেল খাতকে লাভজনক ও আধুনিক করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুধু যাত্রী পরিবহন নয়, মালামাল পরিবহনেও রেলকে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে গড়ে তোলা হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নতুন কোচ যুক্ত হলে যাত্রীসেবা অনেক উন্নত হবে এবং রেলপথে মাল পরিবহনও সহজতর হবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ যেমন কমবে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও আরও গতিশীল হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ মাসুম, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ খান, সেতু প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। অধিক যাত্রী চাপ ও বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে দ্রুত নতুন কোচ সংযোজনের গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, “রেলের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেলকে একটি টেকসই ও লাভজনক পরিবহন খাতে রূপান্তর করা হবে।”