টাঙ্গাইল শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ জনিকে যৌনপল্লী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তারের পর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাহ জনি শহরের আকুর টাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ইসরাফিলের ছেলে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌনপল্লী থেকে অভিযান চালিয়ে শাহ জনিকে আটক করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। এর আগে গত বছরের ২ অক্টোবর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাবও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সকালে শহরের বটতলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এ সময় কালিহাতীর চিনামুরা গ্রামের লাল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ মোট ২৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০–২০০ জনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই মামলায় শাহ জনি ছিলেন ৪১ নম্বর আসামি।
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে জনির গ্রেপ্তারকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে। একাধিক মামলার আসামি হলেও দীর্ঘদিন তিনি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিলেন। এবার যৌনপল্লী থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা জনমনে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।