Ridge Bangla

অনিয়মের অভিযোগে পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক মাফরুহী অভিযোগ করেন, নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়নি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত ছিল ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গণনার, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যানুয়ালি গণনা করা হয়, যা বড় ধরনের অনিয়ম। তিনি আরও জানান, লিখিতভাবে বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার নেওয়া হয়নি, বরং তাকে পদত্যাগ না করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। “বিবেকের তাড়নায় আমি পদত্যাগ করেছি,” বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মাফরুহী স্পষ্ট করে জানান, তিনি বিএনপির সঙ্গে জড়িত নন, তবে একটি রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, “আমি ভোট গণনায় অনেক অনিয়ম দেখেছি। আমার মতামতের সুরাহা না করেই গণনা শুরু হয়। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।”

এদিকে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনায় পোলিং অফিসারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং শুক্রবার রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জানা গেছে, জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে ছাত্রীরা আবাসিক ১০টি হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না এবং ৬৭টিতে ছিলেন একক প্রার্থী। ফলে মাত্র ২৪টি পদে ভোটগ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জন করে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১১

আরো পড়ুন