ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ এলাকায় জাতীয় নির্বাচনের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে স্থানীয়রা তৃতীয় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা কাফনের কাপড় পরে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। এতে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সড়ক ও রেল যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার কমপক্ষে সাতটি স্থানে মহাসড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন এবং সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়েছে, গাছের গুঁড়ি ফেলা হয়েছে এবং বেরিকেট দিয়ে সড়ক ব্লক করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-৪ আসনে ফেরত না দেওয়ার প্রতিবাদে এই অবরোধ করছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে তারা রক্ত দিয়ে হলেও পূর্বের অবস্থান রক্ষা করবেন। একই সঙ্গে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিভাগে সড়ক ও রেলপথে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। ২১টি জেলার সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আলগী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদের ঘোষণা দেন। এতে প্রায় ৫০০–৬০০ মানুষ অংশ নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিকভাবে ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়নকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা আরও বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত যদি দ্রুত প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে তারা সমস্ত ধরনের গণতান্ত্রিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।