Ridge Bangla

বিমানবালাদের স্বর্ণ চোরাচালান, নামমাত্র শাস্তিতেই পরিত্রাণ

এ বছরের ৪ আগস্ট রিয়াদ থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ ফ্লাইটের কেবিন ক্রু রুদাবা সুলতানা অবৈধভাবে স্বর্ণ বহনের সময় ধরা পড়েন। ইমিগ্রেশনে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় সন্দেহজনক আচরণের প্রেক্ষিতে তাকে তল্লাশি করতে চায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রুদাবা সেখানে সাহায্য না করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

তার ভাইয়ের পরিচয় দিয়েও একপর্যায়ে সেখান থেকে তিনি তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর অনেকটা জোরপূর্বক তল্লাশি চালিয়ে তার অন্তর্বাস থেকে ২৩০ গ্রাম স্বর্ণ এবং শরীরে স্ক্যান করে একটি নতুন আইফোন পাওয়া যায়, যা তিনি লুকানোর চেষ্টা করেন। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তারা এগুলোকে জব্দ করেন।

একক কোনো ঘটনা নয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুদের ক্ষেত্রে একটি প্রাত্যহিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্বর্ণ চোরাচালানে যুক্ত থাকার ঘটনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

যারা এখন অব্দি ধরা পড়াছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলার বদলে সাধারণত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও সাময়িক বরখাস্তের মাধ্যমেই নামমাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিললে সামান্য শাস্তি দিয়ে পুনরায় কাজে যোগদান করার সুযোগ দেওয়া হয়।

উদাহরণস্বরূপ, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কেবিন ক্রু মর্জিনা আক্তার এলিন স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আটক হন। প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্তের পর, দীর্ঘ তদন্ত শেষে শাস্তি কমিয়ে শুধু ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ও সামান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইভাবে সাদিয়া খানমকেও সামান্য তিরস্কার করে শাস্তি সীমিত রাখা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. সাফিকুর রহমান বলেন, ছোট পরিমাণ স্বর্ণের জন্য সাধারণত চাকরি যায় না। তবে বড় ধরনের অপরাধে র‌্যাঙ্ক ডিমোশন বা বরখাস্ত হতে পারে। নতুন কেবিন ক্রুর ক্ষেত্রে একটি বছরের বেতন ও প্রমোশন স্থগিত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১২

আরো পড়ুন