কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অন্তত ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। হামাস জানিয়েছে, মার্কিন প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সময় এ হামলা চালানো হয়। তবে আলোচনায় থাকা শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে যান। খবর—বিবিসি।
হামাস জানায়, দোহায় একটি আবাসিক ভবনে বৈঠক চলাকালে হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাদের ছয় সদস্য নিহত হন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলাটিকে বৈধতা দিয়ে বলেছেন, বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিরাই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অন্যদিকে কাতার এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে কাপুরুষোচিত ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হামাস সদস্যদের ব্যাপারে মন্তব্য করেননি।
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত বলেছেন। তবে তার মতে, হামাসকে নির্মূল করাই হবে “সঠিক লক্ষ্য”। কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথাও জানান। উল্লেখ্য, কাতারে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং ২০১২ সাল থেকে হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় এখান থেকেই পরিচালনা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টানা আটটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং কাতারা জেলায় ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার সময় হামাসের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ওই ভবনে উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও শিন বেতের দাবি, হামাসের সিনিয়র সদস্যদের লক্ষ্য করেই সুনির্দিষ্ট এ অভিযান চালানো হয়। ইসরায়েলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হামলায় ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয়।