ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিজয়ীদের আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই। এটাই গণতন্ত্রের রীতি। বহু বছর পর নির্বাচন হলো, কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও সেটিই স্বাভাবিক।”
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ব্যানারে যারা জয়ী হয়েছেন, আমি আবারও তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে কিছু গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরের প্যানেল জয়ী হয়েছে বলে প্রকাশ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষায়, “আমার জানা মতে ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাহলে সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের তথ্য আসছে কেন, সেটি প্রশ্নের বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নিজেদের ব্যানারে প্রার্থী দিয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনও তাদের নাম ব্যবহার করেছে। অনেকেই স্বতন্ত্র ব্যানারে অংশ নিয়েছে। কিন্তু যারা জয়ী হয়েছেন তারা ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী ছিলেন। তাই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার অযৌক্তিক।
আগামী দিনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০২৪-এর পর আমাদের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হলো নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা। এ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের এমন রাজনৈতিক ধারা তৈরি করতে হবে, যা হবে গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও সহমতের সংস্কৃতির প্রতীক।”