সাহিত্যের অঙ্গনে গভীর শোক। না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস ইয়োসা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে তিনি পেরুর রাজধানী লিমায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
বার্গাস ইয়োসার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে পেরুর রাষ্ট্রপতি কার্যালয়। এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তার সাহিত্যকর্ম ও সাংস্কৃতিক অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। প্রেসিডেন্টও পৃথকভাবে একটি শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন।
পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের আরেকিপায় জন্ম নেওয়া বার্গাস ইয়োসা বেড়ে উঠেছেন বলিভিয়ার কোচাবাম্বায়, যেখানে তার দাদা কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে সামরিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে সান মার্কোস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সাংবাদিক ও সম্প্রচারক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করে তিনি পরে মাদ্রিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে প্যারিসে স্থায়ী হন।
তার সাহিত্যজীবনের সূচনা হয় ১৯৫২ সালে ‘লা গাইড দেল ইনকা’ নাটকের মাধ্যমে। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত ‘লা সিউদাদ ই লস পেররোস’ (The Time of the Hero) উপন্যাসটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয় তাকে।
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে Conversation in the Cathedral (১৯৬৯), The War of the End of the World (১৯৮১), এবং Aunt Julia and the Scriptwriter (১৯৭৭)।
২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। সুইডিশ অ্যাকাডেমি তার সাহিত্যকর্মকে “ক্ষমতাকেন্দ্রের গঠন এবং প্রতিরোধ, পরিসংখ্যান ও ব্যক্তি বাস্তবতার প্রতিচিত্র” হিসেবে মূল্যায়ন করেছিল।