রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলার ঘটনায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন জ্বালিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হন এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং কয়েকটি পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে হামলাকারীরা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরাল পাগল ২৩ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তার কবরের উপর ১০-১২ ফুট উঁচু বেদি নির্মাণ করা হয়, যা সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরীফের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। এ নিয়ে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আপত্তি ছিল।
একাধিক দিন উত্তেজনার পর শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে দরবারে হামলা চালিয়ে কবর ভেঙে মরদেহ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন।
মামলায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সকলকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।