আজ বাংলা সিনেমার স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তুমুল জনপ্রিয় এই নায়ক। মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পরও তিনি সমান জনপ্রিয়। চার বছরের অভিনয় জীবনে মাত্র ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সালমান শাহ, যার প্রায় প্রতিটিই সুপারহিট। তার প্রয়াণ দিবসে কোটি ভক্তের মনে আবারও ফিরে আসে শোক, বিস্ময় ও গভীর ভালোবাসা। এখনো টিভি পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। অমর এই নায়কের মৃত্যুদিন উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে তার অভিনীত সিনেমাগুলো।
সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও এর প্রকৃত রহস্য আজও উদ্ঘাটিত হয়নি। তিনি ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক—কোনো কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন-সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা ছিল চোখে পড়ার মতো। সে সময় বলিউড থেকে ডাক পেলেও তিনি কাজ করেননি সেখানে। ভক্তদের চোখে তিনি চিরকালই ‘স্বপ্নের নায়ক’।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। ১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
সিনেমায় সালমান শাহর অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৩ সালে মৌসুমী অভিনীত ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার মাধ্যমে। এরপর মৌসুমীর সঙ্গে জুটি হয়ে অন্তরে অন্তরে, দেনমোহর ও স্নেহ সিনেমায় অভিনয় করেন।
১৯৯৪ সালে শাবনূরের সঙ্গে প্রথম জুটি হন জহিরুল হক পরিচালিত তুমি আমার ছবিতে। পরবর্তী সময়ে একে একে সুজন সখী, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বিচার হবে, তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, জীবন সংসার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়াসী, স্বপ্নের নায়ক, আনন্দ অশ্রু, বুকের ভিতর আগুনসহ বহু সিনেমায় অভিনয় করেন।
অনেক চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালকের ভাষ্যমতে, সালমান শাহ ছিলেন ধূমকেতুর মতো—এলেন, দেখলেন, জয় করলেন, আবার চলে গেলেন।