Ridge Bangla

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে নতুন করে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ছে ইসরায়েল। বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাক্সিম প্রেভো জানিয়েছেন, চলতি মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে তার দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেভো বলেন, “ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “এটি ইসরায়েলি জনগণকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং তাদের সরকারকে আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা এবং বাস্তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার জন্য।”

তবে তিনি এজন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। তাদের শর্ত অনুযায়ী, স্বীকৃতি কার্যকর হবে কেবল তখনই, যদি হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় অপহৃত বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং ফিলিস্তিনে পরিচালনায় আর কোনো ভূমিকা না রাখে। বেলজিয়াম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২ দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ বসতি থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, ইসরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে সরকারি ক্রয়নীতি পুনর্বিবেচনা এবং হামাস নেতাদের বেলজিয়ামে পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করা।

প্রেভো আরও জানান, ইসরায়েলের দুইজন “চরমপন্থী” মন্ত্রী এবং কয়েকজন সহিংস বসতি স্থাপনকারীও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। যদিও নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা হলেন নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ। উল্লেখ্য, চলতি গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে একই অভিযোগে বেন-গভির ও স্মোত্রিচের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন