Ridge Bangla

সমুদ্রপথে মাদকের নতুন রুট, উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

কক্সবাজার ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথের (আইস) প্রবাহ যেন থামছেই না। ২০২১ সালে প্রথমবার আইসের চালান ধরা পড়ার পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে এ মাদক আসা আরও বেড়েছে। শুধু নাফ নদ নয়, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রপথে নতুন নতুন রুট ব্যবহার করছে মাদক পাচারকারীরা।

বিজিবি ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৩৬ লাখেরও বেশি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এসব ঘটনায় এখন অব্দি ৪২ জনকে আটক করা হলেও মূলহোতারা রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, আগে নাফ নদ হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করলেও এখন মিয়ানমারের উপকূল থেকে ট্রলারে করে মাদক আনা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা পর্যন্ত। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও চট্টগ্রামের নির্জন পয়েন্ট দিয়ে চালান ঢুকছে।

র‍্যাব-১৫ সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা ও একটি ট্রলার জব্দ করে। বিজিবিও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারি না থাকায় পাচারকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, মাদক চোরাচালান শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্য নয়, পর্যটন শিল্পের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত সমুদ্রপথে টহল বাড়ানো না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। বিজিবি ও র্যাব বলছে, নতুন রুট চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং সরকারের কাছে সমুদ্রপথে স্থায়ী চেকপোস্ট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১২

আরো পড়ুন