মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে সংশোধনী এনে এ বিধান যোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সংশোধনী অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এ নতুনভাবে সেকশন ২০(সি) যুক্ত করা হয়েছে।
এই ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে যদি আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হয়, তবে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার যোগ্য হবেন না। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে স্থানীয় সরকার পরিষদের কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসকের ক্ষেত্রেও।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতেও নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত কেউ আর কোনো নির্বাচনী পদে প্রার্থী হতে বা সরকারি পদে দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
সরকার মনে করছে, এ সংশোধনী দেশের রাজনীতি ও প্রশাসন থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের প্রভাবমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।