Ridge Bangla

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ও নেতা খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নে রায় বিচারকের

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি ইমিগ্রেশন আদালত। খলিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ মার্চ) লুইজিয়ানার একটি ইমিগ্রেশন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স এই রায় দেন বলে নিশ্চিত করেছে এবিসি নিউজ। আদালত খলিলের আইনজীবীদের আপিল করার জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। বিচারক কোমান্স হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল না করা হলে খলিলকে সিরিয়া অথবা আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।

২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন খলিল। যদিও তার যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ গ্রিনকার্ড ছিল, ২০২৪ সালের ৮ মার্চ তাকে লুইজিয়ানার একটি কারাগারে আটক করা হয়।

মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে হুমকি হিসেবে দেখার অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও তাকে ঘিরে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জনপরিসরে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে, প্রশাসনের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।

আদালতের রায়ের পর খলিল এক বিবৃতিতে জানান, লুইজিয়ানার আদালতে তিনি কোনো ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিফলন দেখেননি। তার দাবি, তাকে বিচারের জন্য দূরের একটি আদালতে নেওয়া হয়েছিল যাতে আইনি সহায়তা পাওয়া কঠিন হয়।

খলিলের আইনজীবী জনি সিনোডিস ফক্স নিউজকে বলেন, আদালত বিতাড়নের আদেশ দিলেও আইনি প্রক্রিয়ায় আরও কিছু ধাপ বাকি রয়েছে এবং তারা আপিল করবেন।

এদিকে, খলিলের স্ত্রী নুর আব্দাল্লা এক বিবৃতিতে বলেন, এই আদেশ তাদের পরিবারের জন্য ‘ভয়াবহ আঘাত’। তিনি বলেন, “প্যালেস্টাইনে সাধারণ মানুষের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই যদি অপরাধ হয়, তাহলে তা ভয়ংকর বার্তা দেয়।”

খলিল সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বর্তমানে আলজেরিয়ার নাগরিক। তিনি ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা লাভ করেন। তার স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক।

আরো পড়ুন