চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ক্লাস এবং শাটল ট্রেন যথারীতি চলবে বলে জানিয়েছেন সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভবনে ভাড়া থাকা এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দারোয়ান ও স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। রাত সোয়া ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই ঘটনায় ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোররাতে সেনাবাহিনী এসে হস্তক্ষেপ করে।
সংঘর্ষে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানান, দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে, বাকিরা ইট, লাঠি ও কাঠের আঘাতে আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ আরিফ জানান, উপাচার্য ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইতোমধ্যে বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।