চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ। এবার এ আয়োজনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি উপস্থিত থাকছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কিমের এই উপস্থিতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য বড় একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈশ্বিক কূটনীতিতে চীনের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টায় এই আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে রাশিয়াকে আলোচনায় আনতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন শি একই মঞ্চে পুতিন ও কিমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এক নতুন বার্তা দিয়েছেন। ১৯৫৯ সালের পর এটাই প্রথমবারের মতো কোনো উত্তর কোরিয়ার নেতার চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ। কিম জং উনের বেইজিং সফর তাই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি কিমের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে চান। এ প্রেক্ষাপটে শি–পুতিন–কিম বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবরেই ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের এক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।