ক্রান্তীয় অঞ্চলে বন ধ্বংস ও উজাড়ের কারণে গত দুই দশকে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ তাপজনিত কারণে মারা গেছেন। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ নামক আন্তর্জাতিক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূমি পরিষ্কার করার ফলে আমাজন, কঙ্গো ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বর্ষাবনে তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে ছায়া কমে যাচ্ছে, বৃষ্টিপাত হ্রাস পাচ্ছে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ছে। বন উজাড় ওইসব অঞ্চলে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৩৪৫ মিলিয়ন মানুষ বন উজাড়জনিত স্থানীয় উষ্ণায়নের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ লাখ মানুষের তাপমাত্রা আরও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই এই অতিরিক্ত গরম প্রাণঘাতী হয়েছে। গবেষকদের হিসাবে, ২০ বছরে বন উজাড়জনিত উষ্ণায়নের কারণে বছরে প্রায় ২৮,৩৩০ জন মারা গেছেন। এর অর্ধেকের বেশি মৃত্যু ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, কারণ সেখানে জনসংখ্যা ঘনত্ব ও তাপজনিত ঝুঁকি বেশি। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যু ঘটেছে আফ্রিকার ক্রান্তীয় অঞ্চলে এবং বাকিগুলো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়।
ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় গবেষকরা ব্রাজিল, ঘানা ও যুক্তরাজ্যের ক্রান্তীয় অঞ্চলে বন উজাড়প্রবণ এলাকার মৃত্যুহার ও তাপমাত্রা তুলনা করেছেন।