বসুন্ধরা কিংসের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ক্লাবটির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রোনালদো নাজারিও ও হার্নান ক্রেসপোর মতো কিংবদন্তি ফুটবলার গড়ার কারিগর, আর্জেন্টাইন অভিজ্ঞ ট্যাকটিশিয়ান মারিও গোমেজ। ৬৮ বছর বয়সী এই কোচকে ঘিরে সমর্থকদের মাঝে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন স্বপ্ন ও প্রত্যাশা।
ঘরোয়া ফুটবলে আধিপত্য ধরে রাখা বসুন্ধরা কিংস নতুন মৌসুম শুরুর আগে এমন বড় ঘোষণা দিল। গোমেজ এর আগে মালয়েশিয়া জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তার সাফল্যের ঝুলিতে আছে ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাজিমকে এএফসি কাপ জেতানো। একই মৌসুমে দলটিকে সুপার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যারিটি শিল্ড জেতান তিনি।
মালয়েশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা, গ্রিস, ইকুয়েডর, হংকং, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গোমেজ। আর্জেন্টিনার লানুস ক্লাবে হেক্টর কুপারের সহকারী হিসেবে কোচিং শুরু করেন তিনি। পরে ইউরোপে গিয়ে কুপারের সঙ্গে কাজ করেছেন মায়োর্কা, ভ্যালেন্সিয়া ও ইন্টার মিলানে। সে সময় রোনালদো, ক্রেসপো, ভিয়েরি, জানেত্তির মতো বিশ্বসেরা তারকাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা হয় তার।
খেলোয়াড়ী জীবনে মারিও গোমেজ ছিলেন একজন শক্তিশালী ডিফেন্ডার। আর্জেন্টিনার ফেরো কারিল ওয়েস্তে ক্লাবের হয়ে তিনি ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে দেশীয় লিগ শিরোপা জিতেছিলেন। তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়, প্রকৃত খ্যাতি পান কোচিং ক্যারিয়ারের মাধ্যমে। ইউরোপ ও এশিয়া মিলিয়ে তার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
সাফল্যের দিক থেকেও গোমেজের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল। জোহর দারুল তাজিমকে এএফসি কাপসহ এক মৌসুমে একাধিক শিরোপা জিতিয়ে মালয়েশিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলেও তার উপস্থিতি আলো ছড়িয়েছে।
বসুন্ধরা কিংস এবারই প্রথমবারের মতো কোনো লাতিন কোচের হাতে দলের দায়িত্ব দিল। এর আগে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিংসকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যান স্পেনের অস্কার ব্রুজোন। গত মৌসুমে দায়িত্বে ছিলেন রোমানিয়ার ভ্যালেরিও তিতা। তবে গোমেজকে দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্লাবটির কোচিং অধ্যায়ে লাতিন আমেরিকার নতুন ছোঁয়া যোগ হলো।
গোমেজের অভিজ্ঞতাই এবার কাজে লাগাতে চায় বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলে ইতোমধ্যেই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। টানা পাঁচবার জিতেছে লিগ শিরোপা।