Ridge Bangla

আবারও রাজনৈতিক সংকটের মুখে ফ্রান্স, আস্থা ভোটে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আবারও রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে ইউরোপের অন্যতম শক্তিধর দেশ ফ্রান্স। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু হঠাৎ ঘোষণা করেছেন, তার সরকার আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিষদে আস্থাভোটে যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বাইরুর পক্ষে এ ভোট জেতা কার্যত অসম্ভব, ফলে তার পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

এ নিয়ে ফ্রান্সে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার কোনো সরকার পতনের মুখে পড়ছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচন দেন। কিন্তু নতুন জাতীয় পরিষদে কেন্দ্রপন্থী, ডানপন্থী জনতাবাদী ও বামপন্থীদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ হয়ে যায়, ফলে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এর আগে মিশেল বার্নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকে ছিলেন, কিন্তু বাজেট পাস না হওয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এবার একই পরিস্থিতি বাইরুর জন্যও তৈরি হয়েছে।

আস্থাভোটে সরকারপন্থীদের হাতে মাত্র ২১০ আসন থাকলেও বিরোধীদের হাতে আছে ৩৫৩ আসন। সোশ্যালিস্ট বা মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র্যালি সমর্থন না দিলে বাইরুর জয়ের সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে বিরোধী নেতারা একযোগে জানিয়েছেন, তারা কেউ সরকারের পক্ষে থাকবেন না। বাইরু বলেছেন, ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে ফ্রান্স অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তবে সাধারণ নাগরিকরা এ যুক্তি মানতে নারাজ, বরং তার ব্যয় সংকোচন পরিকল্পনা ঘিরে নতুন বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হওয়ার পথে। বিশেষ করে ১০ সেপ্টেম্বরের ব্লকঁ তু আন্দোলন ইয়েলো ভেস্টস এর মতো বড় প্রতিবাদের আভাস দিচ্ছে।

যদি ৮ সেপ্টেম্বর আস্থাভোটে বাইরু হেরে যান, ম্যাক্রোঁর জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আবার সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচন হলে তাতে ডানপন্থী জনতাবাদীদের শক্তি আরও বাড়তে পারে। ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্ব যখন নিরাপত্তা, অভিবাসন ও ঋণ সমস্যায় জর্জরিত, তখন ফ্রান্সে এ রাজনৈতিক অচলাবস্থা ইউরোপজুড়ে নতুন অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন