Ridge Bangla

ভোলায় পাঁচ দিন ধরে নৌ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে জনজীবন

বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভোলায় টানা পাঁচ দিন ধরে (১৭ আগস্ট থেকে) অভ্যন্তরীণ ২০টি নৌরুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। মেঘনাসহ স্থানীয় নদ-নদী উত্তাল থাকায় জেলার কর্মজীবী মানুষসহ সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, ইলিশা-মেহেন্দিগঞ্জ, ভোলা-বাউফল, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, মনপুরা-হাতিয়া, চরফ্যাশন-ঢাকা, ভেদুরিয়া-বরিশালসহ অভ্যন্তরীণ ২০টি রুটে ছোট-বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সরকারি সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাতিয়া, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাকিমুদ্দিন থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

মেসার্স ব্রাদার্স নেভিগেশন কোম্পানির ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন জানান, ডেঞ্জার জোনে নদী উত্তাল থাকায় তাদের কর্ণফুলী সিরিজের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. কাউছার আহমেদ বলেন, লঞ্চ ও সি-ট্রাক বন্ধ থাকায় যাত্রীরা জীবিকার তাগিদে ফেরির ওপর নির্ভর করছেন। তবে তাতেও চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা বন্দর কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না কাটলে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। যদিও উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়েছে, তবুও এখনো ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এসময় মাছধরা ট্রলার ও ছোট নৌকাগুলোকে উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন