জাতীয় অ্যাথলেটিকস স্টেডিয়ামে মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সৃষ্টি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি ও দেখা যায় টানটান উত্তেজনা। শুক্রবার (২২ আগস্ট) শুরুর মুহূর্ত থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সুমাইয়া দেওয়ান ও অভিজ্ঞ দৌড়বিদ শিরিন আক্তার।
প্রথমে শিরিনকে দ্রুততম মানবী ঘোষণা করা হলেও ফটো ফিনিশে জয়ী হিসেবে উঠে আসে সুমাইয়া দেওয়ানের নাম। শেষ পর্যন্ত তাকেই চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে আয়োজকরা। শিরিন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান আয়োজক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কাছে। তবে ২০২২ সালের পর দ্বিতীয়বার দ্রুততম মানবীর খেতাব পেলেন সুমাইয়া।
১২.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন সুমাইয়া। শিরিন থেমেছেন ১২.২১ সেকেন্ডে, আর ১২.৪১ সেকেন্ডে তৃতীয় হয়েছেন শরিফা খাতুন। তিনজনই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাথলেট। অপরদিকে, প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের দ্রুততম মানব হয়েছেন ইমরানুর রহমান।
এর আগে ২০২২ সালের জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ১২.৩২ সেকেন্ডে দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন সুমাইয়া, তখন তিনি ছিলেন বিকেএসপির ছাত্রী। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছেন।
ফল নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, এ নিয়ে সুমাইয়া বলেন, আজকের টাইমিংটা (১২.১৯৫) আমার জন্য খুব সন্তোষজনক। দৌড় শেষে আমি নিজেও ধরে নিয়েছিলাম প্রথম হয়েছি। যদি ফল অন্য রকম আসত, আমি অবশ্যই চ্যালেঞ্জ করতাম।
২০২২ সালের পর আবারও দেশের দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতলেন সুমাইয়া। ইভেন্ট শেষে তিনি বলেন, আমি পরিশ্রম করে আবার আগের জায়গায় ফিরতে পেরেছি। ধন্যবাদ জানাই নৌবাহিনী, বিকেএসপি, কোচ ও পরিবারকে। এবার আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে প্রথম হবো, এবং ইনশাআল্লাহ প্রথম হয়েছি। সামনে এসএ গেমসে অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।
সুমাইয়া আরও বলেন, আমাকে দেখে নতুনরা শিখবে। অনুশীলনে কোচ আমাকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলেছি। আগে আমার ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা ছিল, সেটি নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমি বর্তমান দ্রুততম মানবী। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।