বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, এনবিআর ও সিআইডির সমন্বিত টিম কাজ করছে। পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সব অর্থ ফেরত আনতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব এসব তথ্য জানান।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ মিলেছে বিদেশে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে পাঁচটি দেশে এসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও অবহিত করা হয়েছে।
অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, “বিদেশে থাকা সম্পদ উদ্ধারে নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। কারো নাম বা নির্দিষ্ট সম্পদের তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু তথ্য ইতোমধ্যেই বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, প্রথমে খোঁজা হচ্ছে কোথায় সম্পদ রয়েছে, এরপর সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পদ ফ্রিজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশে কিছু সম্পদ ফ্রিজ করা সম্ভব হয়েছে। “আমাদের এখান থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে যে সম্পদ কেনা হয়েছে, সেগুলো বিক্রি করে টাকাটা ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হলেও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি,” যোগ করেন প্রেস সচিব।