মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে আমেরিকান সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন, যদিও আগের দিন তিনি এই সম্ভাবনা খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে এক টিভি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ন্যাটোতে যোগদান এবং রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের আশা পূরণের মতো পরিস্থিতি এখন নেই।
এর আগে সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করেন, যার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ বন্ধ করা। ওইদিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জেলেনস্কির চাওয়া নিরাপত্তা গ্যারান্টির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টায় মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করেননি।
গত সপ্তাহে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, পুতিন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি কী নিশ্চয়তা দিতে পারেন যে ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষায় আমেরিকান সেনারা অংশ নেবে না। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আচ্ছা, তুমি আমার নিশ্চয়তা পাচ্ছো আর আমি প্রেসিডেন্ট।”
একই দিনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটও জোর দিয়ে বলেন, “কোনো সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে মার্কিন সেনারা সরাসরি মাঠে থাকবে না।” লেভিট আরও জানান, পুতিন ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি বৈঠক করবেন, তবে ক্রেমলিন এখনো তা নিশ্চিত করেনি।