সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পরিবেশ সংকটাপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জাফলং থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে খনি ও খনিজ সম্পদ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে পাথর লুটের ঘটনায় এটি দ্বিতীয় মামলা। এর আগে ১৫ আগস্টও এক থেকে দেড় হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গোয়াইনঘাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আবদুল মোনায়েম সোমবার রাতে থানায় এ মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, মামলার আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ থেকে ৯ আগস্ট গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির সুযোগে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের নির্দেশে ৫০ থেকে ৬০টি নৌকায় করে কয়েক হাজার ঘনফুট পাথর তুলে নেওয়া হয়। এসব পাথরের মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে কোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনায়ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল করিম অজ্ঞাতনামা এক হাজারের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চলে সরকারি তালিকাভুক্ত আটটি পাথর কোয়ারি থাকলেও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ২০২০ সালের পর থেকে আর ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দাবি ও রাজনৈতিক চাপের মধ্যেই কোয়ারিগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছিল।