রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার পর সরকারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে আইনকে অপব্যবহার করে হাজারো নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার হাতিয়ার বানানো হয়েছিল। এসব মিথ্যা মামলা শুধু অভিযুক্তদের নয়, তাদের পরিবারকেও দুর্বিষহ ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে এর প্রভাবে বিকৃত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক ও বিচারব্যবস্থা।
সরকার জানায়, মোট ১৬ হাজার ৪২৯টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো অন্যায্য হয়রানির অবসান, রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস এবং নির্বাচনের আগে একটি সমান সুযোগের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
সরকারি ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, যাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করা হয়েছিল, তাদের ন্যায়বিচার ফিরিয়ে দেওয়া এখন জরুরি। এতে একটি ন্যায্য রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আসন্ন নির্বাচনে সব দলের বিস্তৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথ সুগম করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মতে, অন্যায় মামলা প্রত্যাহার কেবল ভুক্তভোগীদের মুক্তি দেবে না, বরং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিশোধের সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে সহায়ক হবে। এর ফলে দেশ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।