Ridge Bangla

রিতু মনির বীরত্বে জয় ছিনিয়ে আনলো বাংলাদেশ নারী দল

২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভয়াবহ শুরু করে বাংলাদেশ নারী দল। মাত্র ২ রানে দুই ওপেনার ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় দল। এরপর শারমিন আক্তার (২৪) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (৫১) কিছুটা স্থিতি আনলেও উইকেটের পতন থেমে থাকেনি। ২১ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৮২/৪। ৯৪ রানে নিগার আউট হলে জয়ের আশা আরও ফিকে হয়ে আসে।

ঠিক তখনই ব্যাট হাতে মাঠে নামেন রিতু মনি। চরম চাপ ও ব্যর্থতার ভিড়ে ঠাণ্ডা মাথায় শুরু করে ধীরে ধীরে ইনিংস গড়তে থাকেন তিনি। যখন দলের দরকার ৫০ রান এবং হাতে মাত্র ২ উইকেট, তখন প্রায় সবাই ধরে নিয়েছিল ম্যাচ শেষ। কিন্তু রিতুর ব্যাটে ছিল সাহসিকতার গল্প। ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আর লড়াকু মানসিকতার অসাধারণ মিশেল ঘটান তিনি নিজের ইনিংসে।

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান, সঙ্গে ছিল একটি ফ্রি হিট। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রিতু। এরপর ব্যাট ছুড়ে ফেলা, হেলমেট-গ্লাভস খুলে সতীর্থদের মাঝে উদযাপন- সবকিছুই যেন হয়ে উঠেছিল এক রূপকথার উপসংহার। ৬১ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।

সঙ্গে ছিলেন নাহিদা আক্তার, যিনি ১৭ বলে ১৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে রিতুকে সঙ্গ দেন। দুজনের ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটি ছিল বাংলাদেশের জন্য বাঁচার শেষ আশ্রয়। এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, ছিল এক সাহসী বার্তা— “হার মানিনি, হারব না।” রিতু মনির শেষ বলে ছক্কা ছিল সেই বার্তার প্রতীক।

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটি ছিল বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়। একই সঙ্গে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২৩৬ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করলো নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৩৫ রান।

এই ঐতিহাসিক জয় রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানোর পাশাপাশি দলকে আত্মবিশ্বাসেও ভরিয়ে তুলেছে। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড (মঙ্গলবার), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (বৃহস্পতিবার) ও পাকিস্তানের (শনিবার)।

আরো পড়ুন