গত ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকে আশানুরূপ ফল না এলেও ওয়াশিংটনে আগামী সোমবারের বৈঠক ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং ইউরোপের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক আলাস্কায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের চেয়েও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আলাস্কার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতি, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কিংবা সমঝোতার ঘোষণা দেননি। এতে ইউক্রেন ও ইউরোপকে বাদ দিয়ে গোপনে কোনো চুক্তি হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তবে এবার ওয়াশিংটন বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে থাকছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাদের উপস্থিতি শুধু প্রতীকী নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া। আর এই বার্তাটি হলো, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো শান্তি চুক্তি কার্যকর হবে না।
জানা যায়, দুটি বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের সরাসরি সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যেকোনো সমঝোতার সঙ্গে শক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
ইউরোপীয় নেতারা চান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কোনো ছাড় না দেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, হোয়াইট হাউস বৈঠকের ফলাফল শুধু রণক্ষেত্রে নয়, ইউরোপের নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপরও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।