চলমান ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে পৌঁছাতে ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠক পরবর্তী ট্রাম্প গণমাধ্যমকে জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে না থাকলেও পুতিন শান্তিচুক্তির পক্ষে আছেন। এটাকে দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
তবে আলোচনার দুইদিন পরেও হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রবিবার (১৭ আগস্ট) ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া প্রতিদিনই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে। সর্বশেষ এই হামলায় ৬ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় ইরানীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে দেশটি।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক তৎপরতা শান্তির প্রতি তাদের আন্তরিকতা না থাকাকেই প্রমাণ করছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া দশটিরও বেশি বড় শহরে অবকাঠামো ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এ ধরনের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে রাশিয়া নতুন করে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে এবং সীমান্তে চাপ সৃষ্টি করছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, “শান্তি চাইলে হামলা বন্ধ করতে হবে। আক্রমণ চালিয়ে গিয়ে আলোচনার কথা বলা ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পক্ষ স্পষ্ট অগ্রগতি না পাওয়ায় শান্তি প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা চললেও বাস্তবে সংঘাতের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় দেশগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে এর প্রভাব আঞ্চলিক সীমা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।