Ridge Bangla

না ফেরার দেশে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক বব সিম্পসন

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বব সিম্পসন আর নেই। সাবেক এই অধিনায়ক ও দেশটির প্রথম পূর্ণকালীন কোচ সিডনিতে ৮৯ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড শোক প্রকাশ করে বলেন, “বব সিম্পসন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এক মহান ব্যক্তিত্ব। তাঁর খেলা দেখার সৌভাগ্য যারা পেয়েছেন বা তাঁর জ্ঞান থেকে উপকৃত হয়েছেন, তাদের জন্য আজ সত্যিই শোকের দিন।”

খেলার ক্যারিয়ার

সিডনিতে বেড়ে ওঠা সিম্পসন ১৯৫৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত খেলেছেন ৬২টি টেস্ট, করেছেন ৪,৮৬৯ রান (গড় ৪৬.৮১), নিয়েছেন ৭১ উইকেট এবং ধরেছেন ১১০টি ক্যাচ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন করতেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে আছে ২১,০২৯ রান ও ৩৪৯ উইকেট।

১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি আসে—এক ইনিংসে ৩১১ রানের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে। শুরুতে অলরাউন্ডার হলেও ষাটের দশকে তিনি নির্ভরযোগ্য ওপেনার হিসেবে খ্যাতি পান। ১৯৬৪ মৌসুমে তার রান ছিল ১,৩৮১, যা সে সময়ের রেকর্ড।

১৯৬৭ সালে অবসর নিলেও ১৯৭৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটের অস্থির সময়ে ৪১ বছর বয়সে আবারও মাঠে ফেরেন এবং দলকে নেতৃত্ব দেন।

কোচিং ক্যারিয়ার ও সাফল্য

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পূর্ণকালীন কোচ হিসেবে ১৯৮০-এর দশকে দায়িত্ব নেন সিম্পসন। তার হাত ধরে অস্ট্রেলিয়া দল নতুন করে গড়ে ওঠে। শেন ওয়ার্নসহ একাধিক তারকা ক্রিকেটার উঠে আসেন তার সময়েই। তার নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে, ১৯৮৯ সালে পুনরুদ্ধার করে অ্যাশেজ এবং ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠে।

সম্মাননা

১৯৬৫ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৮ সালে পান অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়ার সদস্যপদ, যা ২০০৭ সালে উন্নীত হয়ে হয় অফিসার অব দ্য অর্ডার। এছাড়া আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমেও স্থান করে নেন তিনি।

আরো পড়ুন