Ridge Bangla

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানিবৃদ্ধিতে ৪৫০০ জন পানিবন্দি

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী পয়েন্টে নদীর উচ্চতা ১৭.৪৯ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার (১৮.০৫ মিটার) একেবারেই কাছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় প্লাবিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং জনপ্রতিনিধিদের নাম্বারসহ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে, যাতে মানুষ দ্রুত সহায়তা চাইতে পারেন। ইতোমধ্যে দুটি উপজেলায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঘা উপজেলার চরকরাজাপুর ইউনিয়ন, যেখানে ৩৫০ জন এবং গড়গড়ি ইউনিয়নে ২০০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। চররাজাপুরের পাঁচটি ওয়ার্ড নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, “অনেকের বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে এবং ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তবে অফিসের কার্যক্রম চলবে।”

পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের চরখিদিরপুর, চর তারানগর ও চর নবীনগরেও তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১৫০০ জন এখনও চরে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারসহ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক জানান, গত তিনদিন ধরে পদ্মার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি বা হ্রাসের বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বিভাগ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

আরো পড়ুন