Ridge Bangla

ভারত-চীনের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ, পাল্টা শুল্কেও রপ্তানিতে সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক আরোপের পরও ভারত ও চীনের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকায় রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে অভ্যন্তরীণ সংকট দূর করা জরুরি। একইসঙ্গে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম কমানোর চাপ এলেও শক্তভাবে দরকষাকষির মাধ্যমে তা মোকাবিলা সম্ভব।

সর্বশেষ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ কোটি ডলার, যার অধিকাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। নতুন শুল্ক কাঠামোয় চীন ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান ভালো হওয়ায় বাজারে সম্ভাবনা বেড়েছে। তবে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট, উচ্চ সুদের হার এবং বন্দর কার্যক্রমে ধীরগতির মতো কাঠামোগত সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকে গড়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এর ওপর এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ অনুযায়ী অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক যোগ হয়। যদিও এটি প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের সমান এবং পাকিস্তানের তুলনায় কিছুটা বেশি, তবে চীন ও ভারতের তুলনায় এখনও কম।

স্প্যারো অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, “শুল্কহার যদি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি হতো, তাহলে বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত। তবে বর্তমান কাঠামোয় প্রতিযোগিতা বজায় রাখা সম্ভব।”

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “শুল্ক কাঠামো বিশ্বব্যাপী সমানভাবে কার্যকর হওয়ায় রপ্তানিতে বড় ধাক্কা লাগবে না। তবে অভ্যন্তরীণ সংকট কাটাতে না পারলে এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব নয়।”

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শুধু পোশাক নয়, ফুটওয়্যারসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতেও রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক একটি বার্তা।”

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন