প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু থাকা সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই—এ বিষয়ে উত্থাপিত ‘বৈষম্যমূলক’ অভিযোগ অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষা জরিপ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। অপরদিকে, কিন্ডারগার্টেনভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণকারীরা তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তাই বৃত্তি পরীক্ষা মূলত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা হিসেবে বিবেচিত।
প্রসঙ্গত, কিন্ডারগার্টেনগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা চালু রেখেছে, যেখানে কেবল কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরাই অংশ নিতে পারে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দাবির পর সরকারের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা চালু হয়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯০ সালের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর জন্য অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে কোনো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতি কার্যকর নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পাঠানো অভিভাবকের স্বেচ্ছাধীন সিদ্ধান্ত।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই বৃত্তি পরীক্ষা সমাজে শিক্ষা সমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যা কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বঞ্চিত করে না।