স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে, কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকার বয়ে আনবে। ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
ডা. সায়েদুর রহমান আরও জানান, বর্তমানে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারছেন না। ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ফার্মেসি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। তবে সুষ্ঠুভাবে ফার্মেসি পরিচালনায় ওষুধ চুরি রোধ একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হবে।
প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে। সায়েদুর রহমান জানান, এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।