‘আর তাঁর (আল্লাহ) নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)
নবীজি (সা.) বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করল। অতএব বাকি অর্ধেকে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৬১৪৮)
শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে এই মাসে বিয়ে করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়। আয়েশা (রা.) শাওয়ালে তাঁর নিকটাত্মীয় মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, তাঁর কোন স্ত্রী তাঁর কাছে আমার চাইতে অধিক ভাগ্যবতী ছিল? (নাসায়ি, হাদিস : ৩২৩৬)
ইমাম নববী (রহ.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে এই হাদিস উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া, বিয়ে করা ও বাসর করা মুস্তাহাব। আমাদের পূর্বসূরিরাও এই হাদিস দ্বারা শাওয়াল মাসে বিয়ে মুস্তাহাব হওয়ার দলিল দিতেন। আয়েশা (রা.) এই মাসে বিয়ে মুস্তাহাব বলার কারণ হলো, জাহেলি যুগে এই মাসে বিয়ে দেওয়া, করা ও বাসর করাতে অপছন্দনীয় মনে করা হতো, যার কোনো ভিত্তি ছিল না।
বিয়ে নবীদের অন্যতম সুন্নত। আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর হাওয়া (আ.)-কে তাঁর জীবনসাথিরূপে সৃষ্টি করেন এবং তাঁদের বিয়ের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান। এমনকি অনন্ত অনাবিল সুখের জান্নাতেও নারী-পুরুষ পরস্পরের সঙ্গবিহীন অতৃপ্ত থাকবে।