গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যান। আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলায় বহু মানুষ হতাহত হন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১,৪০০ নিহত ও ২৩ হাজার আহতের তথ্য উঠে আসে।
আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ৫০ থানায় এখন পর্যন্ত ৭০৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, মমতাজ বেগম, নাঈমুর রহমান দুর্জয়সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৫,০৭৯ নেতা-কর্মী।
এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক দুই আইজিপি মো. শহিদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, একাধিক সাবেক পুলিশ সুপার, ডিসি, এডিসি, ওসি, এসআই, কনস্টেবলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর দায়ের হওয়া এসব মামলা তদন্তাধীন রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।