গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। এছাড়া, সাবেক ৭৩ শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। বহিষ্কৃত সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত ২২৯ জনের মধ্যে ১৩০ জন বর্তমানে অধ্যয়নরত এবং ৯৯ জন সাবেক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবন, ৩৭ জনকে দুই বছর, ৮ জনকে এক বছর এবং একজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৩ জনের শিক্ষাসনদ স্থায়ীভাবে বাতিল এবং ৬ জনের সনদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। উপাচার্য জানান, গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রলীগের হামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের বাইরে ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪০ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন বর্তমান এবং ২০ জন সাবেক শিক্ষার্থী। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুর রব জানান, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সরাসরি বা পরোক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণ মেলেনি এবং ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণেও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ১৪ থেকে ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসজুড়ে চলা গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নেয়।