মোবাইল সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান অভিযোগ দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরদের জন্য সাত কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও মোবাইল টেলিকম অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, গ্রাহকদের অভিযোগের মূল বিষয়গুলো হলো—কলড্রপ, ডাটা ব্যবহারে সমস্যা, অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম বাতিল হওয়া, সেবার মান নিয়ে বিভ্রান্তি, এবং কাস্টমার কেয়ারে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়া।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, অনেক সময় অপারেটররা নির্ধারিত শুনানিতে অংশ নেন না বা অতিরিক্ত সময় চান, যা গ্রাহকদের জন্য সমস্যা তৈরি করে।
এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়:
-
গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে অপারেটরদের তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
-
নিজেদের মধ্যে সমাধানযোগ্য অভিযোগগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
-
মতবিরোধপূর্ণ অভিযোগ শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
-
প্রতিটি অপারেটরকে একজন নির্দিষ্ট প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে, যিনি নিয়মিত শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া, আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়:
-
অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি প্রযুক্তিগত চেকলিস্ট সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
-
অব্যবহৃত ডাটা বা কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করলে তা গ্রাহককে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
-
অভিযোগ জানানোর সময় গ্রাহকের কলচার্জ না কাটার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
-
পুরোনো সিম পুনরায় বিক্রির ক্ষেত্রে প্যাকেটে ‘রিইউজড’ বা ‘পূর্বে ব্যবহৃত’ উল্লেখ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সভায় অংশ নেওয়া সব পক্ষ এই সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।