ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রচণ্ড মেঘ ভাঙনের ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৫০ জন। দেশটির স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় এই দুর্যোগ শুরু হয়। এর ফলে সৃষ্ট প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে গ্রামের বহু ঘরবাড়ি এবং অন্তত ২০–২৫টি হোটেল ও হোমস্টে।
সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন দল উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামে পৌঁছেছে, যেখানে বন্যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্যোগের নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল এক জলরাশি ওই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাবে ভবনগুলি ভেঙে পড়ছে। পর্যটন এলাকা ধরলি হোটেল, রিসোর্ট এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
মেঘ ভাঙন হলো অল্প সময়ে ছোট একটি এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ঘটনা, যা প্রায়শই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। ওই এলাকায় মেঘভাঙনের ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি নেমে আসে, এতে খীরগঙ্গা নদী ফুলে ওঠে এবং পাহাড়ি ভূখণ্ডে প্রচুর পরিমাণে কাদা ও জল প্রবাহিত হয়, যা ধরলির রাস্তা, ভবন এবং দোকানগুলিতে আঘাত হানে।
গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা চিৎকার, বাঁশি বাজানো এবং “পালাও, পালাও” বলে লোকজনকে সতর্ক করেন, কিন্তু হঠাৎ ঢেউ আসায় অনেকেই পালাতে পারেননি। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) এক পোস্টে “ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা” জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সকল ক্ষতিগ্রস্তদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি… ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। জনগণকে সহায়তা প্রদানে কোন কসরত করা হচ্ছে না।”