দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ করতে সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এর মধ্যেই থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। অনলাইন আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে মধ্যরাতের পর কম্বোডিয়ার সেনারা থাই সেনাদের লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি বলেন, “চুক্তি কার্যকরের পর এই হামলা ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন এবং পারস্পরিক আস্থা বিনষ্ট করার স্পষ্ট চেষ্টা। থাইল্যান্ড আত্মরক্ষায় উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা আমাদের আইনি অধিকার।”
এদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেয়তা দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যুদ্ধবিরতির পর কোনো হামলা হয়নি।
এর আগে, সোমবার মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় উভয় দেশ একটি শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং ঘোষণা দেয় যে, মধ্যরাত থেকে তা কার্যকর হবে।
সীমান্তজুড়ে অবস্থিত শতাধিক বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মন্দির এবং অঞ্চলগত দাবির জের ধরে এ সংঘাতের সূত্রপাত। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে এই বিরোধ চলমান।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে দুই দেশের আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠক নির্ধারিত হয়। একজন এএফপি সাংবাদিক জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার সামরাওং শহর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ৩০ মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয়ে যায় এবং ভোর পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় বলেন, “রাত ১২টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে।”
মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি উত্তেজনা প্রশমনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ এবং এটি শান্তি ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত।