নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। এতে স্থানীয়দের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। টানা জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে উপজেলার অন্তত তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলি জমি, মাছের ঘের এবং বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুখচর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডসহ নিঝুম দ্বীপের বিভিন্ন এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বসতঘর, রান্নাঘর, উঠান ও রাস্তাঘাট সবকিছুই পানির নিচে চলে গেছে।
উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল—দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলের চর, বয়ার চর, চর আতাউর ও মৌলভীর চরেও ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নোয়াখালী কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, তুপানিয়া, আল-আমিন গ্রাম ও নলচিরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় জরুরি সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, “জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।” রোববার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে দ্বীপটির সঙ্গে পুনরায় নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।