টানা চতুর্থ দিনের মতো কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড তাদের বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও সংঘর্ষ থামেনি।
রোববার (২৭ জুলাই) ট্রাম্প ঘোষণা করেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত হয়েছে এবং যদি সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে, তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য চুক্তি বিপন্ন হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ গুলিবর্ষণে লিপ্ত হলে পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পরিণত হয়। থাই ও কম্বোডিয়ান কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত এ সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
উভয় পক্ষই উত্তেজনা শুরু ও সংঘর্ষের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে উভয় দেশের নেতারা ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে মালয়েশিয়ায় আলোচনায় বসবেন।
এর আগে রোববার ট্রাম্পের ঘোষণার পর থাইল্যান্ড জানায়, তারা এখনই সামরিক অভিযান বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়। দেশটি কম্বোডিয়াকে তাদের সুরিন প্রদেশের বেসামরিক এলাকায়, সীমান্তে এবং আরও কিছু এলাকায় ভারী কামান হামলা চালানোর অভিযোগ করে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “যখন কম্বোডিয়া বারবার মানবাধিকার ও মানবিক আইনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে, তখন কোনো ধরনের শত্রুতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।”
এদিকে ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সতর্ক করে বলেন, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি কোনো দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।