ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতি পাঁচজন শিশুর একজন পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। সংস্থাটির কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজার মানুষ এখন জীবিতও নয়, মৃতও নয়, তারা যেন হাঁটাচলা করা মৃতদেহ।”
এই মানবিক সংকটের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েল কর্তৃক ধারাবাহিক অবরোধ এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতিকে দায়ী করছে। ইতোমধ্যে শতাধিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়ছে এবং সহায়তা না বাড়ালে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
ইসরায়েল অবশ্য গাজায় কোনো অবরোধের কথা অস্বীকার করে বলছে, সংকটের জন্য তারা হামাসকে দায়ী করছে এবং তাদের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তায় কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, খাদ্য, পানি ও ওষুধ গাজায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা তৈরি করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রচেষ্টাতেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আন্তর্জাতিক মহল যদি জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ না করে, তাহলে এই সংকট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। গাজার শিশুদের এই পুষ্টিহীনতা শুধু একটি মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং গোটা অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য এক ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা।