Ridge Bangla

সড়ক সংস্কারে অনিয়ম, রংপুরে প্রতি বর্গমিটারে পাঁচ কেজি পাথর কম

রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের সংস্কার কাজে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। প্রতিটি বর্গমিটারে নির্ধারিত ২৩ কেজি পাথরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ১৮ কেজি করে। সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দলের পর্যবেক্ষণে এই অনিয়ম শনাক্ত হয়।

২৩ জুলাই (বুধবার) রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের অধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা সিটি মোড় এলাকায় সড়ক সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণকালে অনিয়মের প্রমাণ পান। লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বাধীন দলটি নির্মাণ উপকরণ পরীক্ষা করে এই ঘাটতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।

সওজ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের প্রায় ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটি (ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট) পদ্ধতিতে উন্নয়নকাজের জন্য ২৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের আওতায় পড়ে রংপুর মেডিক্যাল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেতু, এবং তকনাগঞ্জ থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত অংশ।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ডন এন্টারপ্রাইজ’। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা এখন পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করেছে এবং চুক্তি অনুযায়ী অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণে পাথরের ঘাটতির প্রেক্ষিতে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহিনুর রহমান বলেন, “আমাদের কাজ সেনাবাহিনীর নজরদারিতে এসেছে, যেখানে ৫ কেজি ঘাটতি ধরা পড়েছে। তবে এটি মাত্র ৮০০ মিটার এলাকায় হয়েছে, আমরা সংশ্লিষ্ট অংশ পুনরায় মেরামত করব।”

এ বিষয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “ডিজাইনে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের কথা থাকলেও বাস্তবে ১৮ কেজি পাওয়া গেছে। প্রকল্প এলাকা দীর্ঘ হওয়ায় কোথাও কোথাও এমন বিচ্যুতি হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন