দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি জুলাই মাসের শুরু থেকে রিজার্ভে কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে। ৩০ জুন রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ২৪ দিনে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী হিসাবেও একই সময়ে রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত ৮ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বাবদ ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুসারে ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
তবে সামগ্রিক চিত্র ইতিবাচক। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর প্রবাসীরা বৈধ পথে বেশি আয় পাঠাচ্ছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। একই সময় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
এই দুই খাত—রেমিট্যান্স ও রপ্তানি—ভরসা জোগাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। আমদানি তুলনামূলক কম থাকায় ডলারের ওপর চাপ কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে, যার প্রভাবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতি বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করেও বৈদেশিক মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।